Does Multiverse Disprove Fine Tuning of the Universe?

কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডের একটা থিউরীর নাম হল মেনি ওয়ার্ল্ডস ইন্টারপ্রিটেশন। এখানে বলা হয় যে মহাবিশ্বে পূর্বনির্ধারিত নয় (র‍্যান্ডম) এমন অনেক ঘটনা আছে যেগুলো কিনা আসলে আবার পূর্বনির্ধারিত। কি বুঝলেননা? সহজ করি। ধরেন আপনি একটা ডাইস নিক্ষেপ করলেন, এতে যেকোন সংখ্যা (১-৬) পড়ার সম্ভাবনা ১/৬। তাই এটা পূর্বনির্ধারিত নয়। এখন প্যারালাল ইউনিভার্সে হবে কি আপনি ডাইস নিক্ষেপের সাথে সাথে মহাবিশ্ব ৬ টি নতুন বিশ্বে ভাগ হয়ে যাবে যার একটিতে ডাইস পড়বে ১, আরেকটিতে ২ এভাবে বাকিগুলোতে ৩,৪,৫,৬। অর্থাৎ এটা এখন হয়ে গেল পূর্বনির্ধারিত। ( predetermind ) কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডের “many world interpretation ” ফিজিক্যালি কোনো থিওরি নয় বরং হাইপোথিসিস। তবে এখন পর্যন্ত এই হাইপোথিসিস এর বহুমাত্রিক বর্ধিত এবং পরিবর্তিত গবেষণা বিদ্যমান।

এখন আসি মুল কথায়, মিলিট্যান্ট এথিইস্ট দের দাবি অনুযায়ী মহাবিশ্বের উৎপত্তির জন্য যে সুক্ষ্ম প্যারামিটার গুলো প্রয়োজন তার জন্য সৃষ্টিকর্তার ব্যাখ্যা কে দূরে ঠেলে দিয়ে তাদের অল্টারনেটিভ যে দুটো ব্যাখ্যা দেখা যায় তন্মধ্যে একটি হচ্ছে ফিজিক্যাল নেসেসিটি অন্যটি হচ্ছে বহুমহাবিশ্ব বা মাল্টিভার্স। যেমন ধরুন, বাই চান্স একটি এমাইনো এসিড র‍্যান্ডম চান্সে আসার সম্ভাবনা 10^77. খুবই দুর্লভ এবং অযৌক্তিক একটি সম্ভাবনা। যদিও ম্যাথমেটিক্সে ১০^৫০ কেই null অথবা শুন্য সম্ভাবনা হিসেবে ধরা হয়। তো তাদের ক্লেইম অনুসারে , যদি ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মহাবিশ্ব থেকে থাকে তন্মধ্যে বাই চান্স একটি মহাবিশ্বের প্রাণের উৎপত্তি তেমন কোনো ব্যাপার না। সাপোজ ধরে নিলাম মহাবিশ্বে বাই চান্স ( কোনো বুদ্ধিমান সত্তার হস্তক্ষেপ ছাড়া) প্রাণ উৎপত্তির সম্ভাবনা ১০^৭৭ তাহলে আমাদের মাল্টিভার্স হাইপোথিসিস অনুযায়ী মহাবিশ্বে টোটাল ইউনিভার্স ধরলাম 10^77 তাহলে কি হলো ব্যাপার টা? দেখা গেল ১,২, ৩ এভাবে করে ১০^৬৯ পর্যন্ত মহাবিশ্বে কোনো প্রাণের উৎপত্তি হইলো না বাট ১০^৭৭ নাম্বার ইউনিভার্সে দৈবাৎ সংঘর্ষের মাধ্যমে মহাবিশ্বের মধ্যে প্রাণের উৎপত্তি হয়ে গেল। তাতে হলো কি, আমরা যে বলি ফাইন টিউনিং বা মহাবিশ্ব এতো এতো সুক্ষ্ম প্যারামিটার দ্বারা নির্মিত এবং এর মধ্যে থাকা প্রাণের জন্য এও তাই, সেক্ষেত্রে দেখা গেলো এটা বাই চান্স আসতে পারে। ( তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে)।

মোরাল অফ দ্য স্টোরিঃ মাল্টিভার্স থাকার ফলে দুর্ঘটনা বশত আমাদের মহাবিশ্ব টা এতো ফাইন টিউন বা মহাবিশ্বের প্যারামিটার গুলো এতো সুক্ষ্মভাবে নির্মিত।

কসমোলজিস্ট ম্যাক্স টেগমার্ক (𝗠𝗮𝘅 𝗧𝗲𝗴𝗺𝗮𝗿𝗸 ) মাল্টিভার্স হাইপোথিসিস নিয়ে রিসার্চ করেন। সেগুলোর একটা ক্লাসিফিকেশন করেছেন যার চতুর্থ ও শেষ লেভেলটার হাইপোথিসিস তিনি নিজে দিয়েছেন। ম্যাক্স একজন সুইডিশ বিজ্ঞানী। মাল্টিভার্স নিয়ে এ পর্যন্ত যত কসমোলজিস্ট যা দাবি করেছেন তার সম্পুর্ন টা আধুনিকায়ন সহ উচ্চতর লেভেলে রিসার্চ ম্যাক্স ই করেছে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল সহ বহু জার্নালে তার রিসার্চ আপনারা পাবেন। কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডের “Many world Interpretation” অনুযায়ী যদি বহু মহাবিশ্ব থেকে থাকে তবে একইভাবে এই মহাবিশ্বে আমাদের অস্তিত্ব আছে কিন্তু অন্য বেশীরভাগ মহাবিশ্বে আমাদের অস্তিত্ব নাই। আবার এই মহাবিশ্বে আপনি একজন মানুষ কিন্তু অন্য মহাবিশ্বে আপনি হয়তো পাখি । মূল কথা হল কাকতালীয় বা অনুকূল পরিবেশ আসলে কিছুনা, ( র‍্যান্ডমনেস বলে কিছু নাই) সম্ভাব্য সকল জিনিস অন্য কোন না কোন মহাবিশ্বে হচ্ছে, কিন্তু আমরা বাকি মহাবিশ্ব দেখছিনা বলে ভাবছি যে এটা কাকতালীয়। তাইলে বিষয় টা কি দাড়ালো? ফিরে আসি ম্যাক্স ট্যাগমার্ক এর কাহিনিতে, ২০০৭ সালে ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত তার রিসার্চ পেপার “Many Lives In Many World’s” তে তিনি দেখান যদিও না কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডের “Many world interpretation ” এর উপর ভিত্তি করে বহুমহাবিশ্ব থাকেও তবে সেসব মহাবিশ্বেও প্রাণ থাকবে অর্থাৎ সেগুলোও হবে ফাইন টিউনিং! লও ঠেলা, তার মানে হচ্ছে প্রচলিত মিলিট্যান্ট এথিইস্টদের তুলে আনা ক্লেইমের মতো মাল্টিভার্স হাইপোথিসিস এর কোনো এক দুর্ঘটনায় আমাদের মহাবিশ্বের জন্ম হয়নি। কারণ প্রচলিত মাল্টিভার্স হাইপোথিসিস অনুযায়ী বাই চান্স একটার পর একটা ইউনিভার্সে দৈবাৎ জীবন আসার সম্ভাবনা শেষ হয়ে আবার আরেকটা ইউনিভার্সে সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বহুমহাবিশ্ব থাকলেও সবগুলোতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে আমাদের মহাবিশ্বের মতো আইডেন্টিক্যাল না হলেও। সুতরাং বহুমহাবিশ্বের সবগুলো তেই সুক্ষ্ম প্যারামিটার বিদ্যমান থাকবে। অর্থাৎ তখন একটা মহাবিশ্ব বাই চান্স অস্তিত্বে আসার সম্ভাবনা ১০^৫০ হলে ( ধরে নিলাম) যদি টোটাল ১০^৫০ মহাবিশ্ব থাকে তবে সবগুলো মহাবিশ্ব বাই চান্স আসার সম্ভাবনা ১০^১০০! যা অকল্পনীয় সম্ভাবনা। সুতরাং “Many World Interpretation ” অনুযায়ী বহুমহাবিশ্বে এনথ্রোপিক প্রিন্সিপাল আরও বহুগুণ শক্তিশালী।

শানে নুযূলঃ সৃষ্টির উপর ভর দিয়া স্রষ্টাকে টেক্কা দেয়া সহজ না

References:

Many World Interpretation: https://www.nature.com/articles/448023ax

Many World Interpretation Explained: https://thereader.mitpress.mit.edu/the-many-worlds-theory/

pdf file: https://drive.google.com/file/d/1a-Xjv633ChTneRAYZGa_8sjxsEPNKEtX/view?usp=drivesdk

Asief Mehedi

Assalamualaikum to all.My name is Asief Mehedi . I am an informal philosophy student. Let's talk about comparative theology, we work to suppress atheism. Help us to suppress atheism and come forward to establish peace.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button