আর্গুমেন্ট ফ্রম কনশাসনেস

ফিলোসোফি

আমাদের চারপাশের জগৎ মূলত দু ধরনের। একটি কনক্রিট বা ফিজিক্যাল অন্যটি হলো মানসিক বা মেন্টাল স্টেট।৷আমাদের চারপাশের জগৎ যা আমাদের মাইন্ড থেকে মুক্ত তাকে আমরা ফিজিক্যাল বা ভৌত জগৎ হিসেবে চিহ্নিত করি অপরদিকে আমাদের মেন্টাল স্টেট হচ্ছে আমাদের ইমোশন, যাবতীয় বিমূর্ত চিন্তা, ভালোলাগা, ইত্যাদি।

কনশাসনেস

Consciousness (চেতনা)কে সংজ্ঞায়িত করা সহজ ব্যাপার নয়। আপনি চেতনাকে কে সংজ্ঞায়িত করতে গেলে দেখতে পাবেন চেতনার সাথে অনেক জিনিসের সম্বন্ধ আছে তবে Consciousness সৃষ্টজগতে থাকা কোন কিছুরই মত নয়। এটা বললে যথার্থ হয় যে Consciousness তার নিজস্ব ক্যাটাগরির এবং অন্য কোন কিছুর মত নয়। Consciousness এর মধ্যেই পদার্থসমূহকে এক্সপেরিয়েন্স করা হয় তাহলে Consciousness কিভাবে অন্য পদার্থ হয়? প্রক্রিয়াসমূহকে Consciousness এর মধ্যে এক্সপেরিয়েন্স করা হয় তাহলে Consciousness কিভাবে অন্য একটি প্রক্রিয়া হয়? আপনি যদি কিছু সময় নিয়ে চিন্তা করেন যে Consciousness হল একটি পদার্থস্বরুপ তাহলে আপনি কিন্তু একটি চিন্তায় এটিকে সম্পুর্ণ ধারণ করতে পারবেন না। কনশাসনেস কে আমরা বলতে পারি একটি আত্মসচেতন মন। যার মাধ্যমে আমরা সেন্সরি ইনপুট গ্রহণ করি এবং কোয়ালিয়া এন্ডোর্স করি। কোয়ালিয়া হলো কোনো কিছুর কোয়ালিটি বা গুণ। যেমন নীল রঙের নীলত্ব (blueness) যখন আমরা নীল রঙ দেখি তখন তার নীলত্ব দেখে বুঝতে পারি রঙ টা নীল।

Qualia:

Phenomenal consciousness: Qualia / Subjective Conscious Experience বা ব্যক্তিস্বতন্ত্র চেতন অভিজ্ঞতার সাথে জড়িত। আমাদের বাহ্যিক ইন্দ্রিয় গুলো দিয়ে আমরা এমন কিছু অভিজ্ঞতা লাভ করি যেগুলো ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন ধরুন, আপনি এখন ডেস্কের সামনে বসে লেখাটি পড়ছেন। পাশে জানালা দিয়ে আকাশ দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যার মুহুর্ত। আকাশে রঙ বদলে যাচ্ছে, সূর্য অস্ত যাচ্ছে। এই মনোরম দৃশ্য দেখে আপনার যেমন অনুভূত হচ্ছে যদি অন্য কেউ তা দেখতো তার কিন্তু হুবুহু আমার মত অনূভূতি লাভ হতো না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বেশিরভাগ মানুষেরই সূর্যাস্ত দেখে ভালো লাগবে। কিন্তু এই ভাল লাগার ব্যাপারটা একজনের সাথে আরেকজনের হুবহু মিলবে না। তেমনি ভাবে আবার ধরুণ,  আপনার স্ত্রী বাসায় পাটিশাপটা পিঠা বানালো। অনেক সুস্বাদু! এখন সেটি খেয়ে স্বামীর যেমন অনুভূত হবে বাসার বাচ্চারা অথবা মা-বাবারা খেলে একদম একই অনুভূত হবে না তাদের। এগুলোই হচ্ছে সহজ করে বললে Subjective Conscious Experiences। কোন কিছু দেখা, খাওয়া, ছোয়ার মাধ্যমে আমরা যে অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা লাভ করি সেটা ব্যক্তি সাপেক্ষে ভিন্ন ভিন্ন হয়। মানে কোন আইসক্রিম খেলে আমার যেমন অনুভূত হবে হুবুহু একই আপনার হবে না। এভাবে পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের একই রকমের আইসক্রিম খাবার অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন হবে, একজনের সাথে আরেকজনের মিলবে না।তাহলে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে আমাদের Subjective Conscious Experience আছে। এখন কথাটিকে একটু ঘুরিয়ে বললে, আপনার কোন কিছু দেখলে যেমন টা অনুভূত হবে সেটা কিন্তু আমি কখনই জানতে পারবো না বা আপনি যদি আপনার অনুভুতিটা শেয়ারও করেন তাও তা পুরোপুরি জানা কখনই সম্ভব নয়, কারণ আমি আপনি সম্পূর্ণ আলাদা ব্যক্তি।

চেতনার ব্যাখ্যায় ব্যর্থ ফিলোসোফিক্যাল “Isms”

Eliminative Materialism এর মতে মন বলে আসলে কিছু নেই। এই তত্ত্ব বলে না যে মনকে পদার্থের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যাবে বরং বলে মনের কোন অস্তিত্বই নেই। একমাত্র পদার্থেরই অস্তিত্ব আছে। আমরা চিন্তার ভ্রমে পড়ে ভাবি যে আমাদের মন আছে! কোন কিছুর দিকে এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকানো আসলেই অদ্ভূত। কিন্তু এই মতবাদ এখন বস্তুবাদীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এসব বস্তুবাদী দার্শনিক মতবাদের ব্যাপারে বিজ্ঞানের কোন সমর্থন নেই। বরং বৈজ্ঞানিক প্রমাণসমূহ অনেক দৃঢ় ভাবে এসব মতবাদকে ভুল সাব্যস্ত করে। এছাড়াও Eliminative Materialism স্ববিরোধী একটি তত্ত্ব। [1]Slagle, J. (2020). Yes, Eliminative Materialism Is Self‐Defeating. Philosophical Investigations, 43(3), 199-213.https://doi.org/10.1111/phin.12252

১. Logical Behaviorism: আচরণবাদ reductive materialism এর একটি অংশ। reductive materialism অনুযায়ী সকল মেন্টাল স্টেট কনশাসনেসসহ সবকিছু কেবল মানুষের ফিজিক্যাল স্টেট এর ইন্টারেকশনের প্রভাব। behaviorism অনুযায়ী অনুভূতিকে আচরণের পরিভাষায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব। মানসিক অবস্থা ফিজিক্যাল স্টেট এর একটি অংশমাত্র, আমি খুশী এটি আমার ভৌত অবস্থার রিফ্লেশন মাত্র। যেমন কেউ খুশি হলে সে হাসে কেউ ব্যথা পেলে কান্নার অনুভব হয়। আবার এই Behaviorism কোনো কিছুর প্রোপার্টির কোয়ালিটি বা কোয়ালিয়া কে ব্যাখ্যা করতে পারেনা। যেমন আমার পার্পল রঙ ভালো লাগে, আইসক্রিম আমার পছন্দের, আবার মাথাব্যথায় আমি ব্যথা অনুভব করি। এই তত্ত্বের সমস্যাটি হলো কোয়ালিয়া কে কোনোভাবেই আচরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। যেমন ধরুন মুভমেন্ট এবং একশন দুটো সেইম জিনিস না। আপনি কোনো চিঠি পোস্ট করলে আপনার হাত কে ব্যবহার করেন এবং ক্রিকেট খেলার সময় ও হাত কে ব্যবহার করেন, হাতের মুভমেন্ট এখানে কোনো কিছু নির্ধারণে সক্ষম নয়, আবার এই ক্রিটিক্যাল মুভমেন্ট এর উদ্দেশ্য জানার ফিক্সড কোনো বিহেভিয়ার ক্রাইটেরিয়া নেই। আবার ফুটবল খেলার সময় আমার মুভমেন্ট যেমনই হোক না কেন আমার উদ্দেশ্য হলো ‘গোল করা’ এটা নির্ধারণ করা আমার আচরণের মাধ্যমে সম্ভব নয়। [2]Psychologism and Behaviorism Ned Block The Philosophical Review Vol. 90, No. 1 (Jan., 1981), pp. 5-43 https://doi.org/10.2307/2184371

paralytics to perfect actors: ধরুন যাদের প্যারালাইসিস আছে তারা খুশি বা বেদনাগ্রস্থ হলেও তাদের আচরণের মাধ্যমে আপনি কখনোই তিনি ঠিক কোনো মেন্টাল স্টেট এ আছেন তা জানতে পারবেন না। আবার কোনো নিখুঁত ব্যথাভানকারী অভিনেতা বা স্টেজ পারফর্মার কখনো কখনো প্রচন্ড ব্যথাদায়ক বা খুব বেশি হাস্যোজ্জ্বল এমন অভিনয় করে থাকে এক্ষেত্রে তাদের আচরণ বেদনাদায়ক কোনো কিছুকে রিফ্লেক্ট করলেও আদোতে তারা তো ব্যথা পাচ্ছেনা, কিংবা ধরুন স্পার্টার যোদ্ধারা খুব বেশি আহত হয়েও তাদের মুখে দেখা যায় বিজয়ের হাসি, এখানে তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করে কখনোই তার মানসিক অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়। [3]Hamlyn, D. W. “Behaviour.” Philosophy 28 (1953): 132-145. 

 

২. Identity Theory: Identity Theory বা পরিচয় তত্ত্ব হল মন এবং শরীরের মধ্যেকার সম্পর্কের উপর দৃষ্টিভঙ্গি। Identity theory অনুযায়ী মানসিক অবস্থার অন্তত কিছু প্রকার (বা প্রকার, বা শ্রেণী) আংশিক সত্য হিসাবে, মস্তিষ্কের অবস্থার কিছু প্রকারের (বা প্রকার, বা শ্রেণী) সাথে আক্ষরিকভাবে অভিন্ন। টাইপ আইডেন্টিটির প্রথম প্রবক্তারা যথাক্রমে ইউটি প্লেস, হার্বার্ট ফেইগল এবং জেজেসি স্মার্ট – প্রত্যেকেই ১৯৫০ এর দশকের শেষ থেকে ১৯৬০ এর দশকের শুরুতে তত্ত্বের নিজস্ব সংস্করণ প্রস্তাব করেছিলেন। Identity Theory র অন্যতম একজন প্রবক্তা এবং সংস্কারক দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানী U.T Place ১৯৫৪ সালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন “Is Consciousness a Brain Process?!” অর্থাৎ চেতনা কি মস্তিষ্কের একটি প্রক্রিয়া? [4]Place, U. T. (1956). Is consciousness a brain process?. British journal of psychology, 47(1), 44-50.

https://doi.org/10.1111/j.2044-8295.1956.tb00560.x
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন শ্রেনির (Class) অবস্থান গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যেমন, মানসিক অবস্থা, চেতনার উৎপত্তি, মন এবং শরীর সমস্যা (mind-body problem) বিষয় সমুহের কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া যায় না অথবা দার্শনিক না যেসব বিষয় এ একেবারে সুনিশ্চিত কোনো উত্তর দিতে পারছেন না সেসব বিষয়। সহজ ভাষায়, তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন আমাদের চিন্তাভাবনা, চেতনা কেবলইমাত্র শারীরিক শরীরের একটি অংশমাত্র। এই তত্ত্বটিও কালের আবর্তনে অগ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়, যেহেতু আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক একই জিনিস নয়।

উদাহরণস্বরূপ, 1960-এর দশকে আমেরিকান দার্শনিক, গণিতবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিলারি পুটনাম (“Multiple Realizability “) “একাধিক উপলব্ধিযোগ্যতা”-এর সূচনা করে এমন একটি ধারাবাহিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন – খুব সহজ ভাষায়, একই মানসিক অবস্থা বিভিন্ন শারীরিক অবস্থায় উপলব্ধি করা যেতে পারে। এটিকে Identity Theory র বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী যুক্তি হিসাবে দেখা হয়। [5]Putnam, Hilary, 1967, “Psychological Predicates”, in W.H. Capitan and D.D. Merrill (eds.), Art, Mind, and Religion, Pittsburgh: University of Pittsburgh Press, 37–48 … Continue reading

৩. Functionalism: ফিলোসোফি অফ মাইন্ডে functionalism একটি তত্ত্ব যা মন এবং মস্তিষ্ক কে ব্যাখ্যা করে। এই মতবাদ অনুযায়ী মন এবং মস্তিষ্কের সম্পর্ক অনেকটা কম্পিউটার এর সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার এর মতোই। ফাংশালিস্ট দের মতে, মানসিক অবস্থান (Mental State) কে চিহ্নিত করার জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে মেন্টাল স্টেট কিভাবে করে সেটা জানা, সেটা কি দিয়ে তৈরি তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন ধরুন কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার আছে, সফটওয়্যার যেভাবে প্রোগ্রাম রান করে ঠিক সেভাবেই মস্তিষ্কের প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার হলো মাইন্ড। অর্থাৎ আমাদের হাসি, খুশি, দুঃখ বেদনা, এগুলো কেবল নিউরাল নেটওয়ার্কস এর ইনপুট এবং বিহেভিয়ারেল আউটপুট। যেমনটা কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, কম্পিউটার হলো ফিজিক্যাল ডিভাইস যার মধ্যে গানিতিক বিষয়াদি ইনপুট করে আমরা একটি ফলাফল আউটপুট হিসেবে পাই, ব্রেইন এবং মাইন্ড এর বিষয়টাও সেইম। তবে ফাংশনালিজমের সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি তা হলো causal exclusion problem. অর্থাৎ আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক যদি আসলেই কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মতো কোনো ফাংশন হয় বা আমরা যদি কেবল নিউরন ফায়ারিং এর জন্যই সকল ‘qualia’ অনুভব করে থাকি তবে আমাদের কনশাসনেসের প্রত্যেকটি অংশ কেই ফিজিক্যালি ব্যাখ্যা করা সম্ভব হওয়ার কথা যেমন আমি ভালোবাসি এখন কিছু কেমিক্যাল রিয়েকশন বা কিছু অনু পরমাণুর সমষ্টিগত বিন্যাস ‘ ভালোবাসা’ কে কিভাবে তৈরি করতে পারে? যেখানে এদের ফিজিক্যাল প্রোপার্টি ফিজিক্যাল ই থাকে সেটা যেভাবেই এসেম্বল করা হোক না কেন। বা ধরুন আমি কল্পনা করছি একটি ‘ ‘গোলাপি রঙের হাতি ‘, মস্তিষ্কের নিউরন ফায়ারিং এর ফলে যদি এই ‘গোলাপি রঙের হাতি’ উদ্ভব হয় তবে নিশ্চয়ই আমার মস্তিষ্কের কোনো এক কোণে তা থাকার কথা তবে আদৌ কি তা সম্ভব? একেবারেই না। [6] Kim, J., 1989, “Mechanism, Purpose, and Explanatory Exclusion”, in J. Kim, Supervenience and Mind, Cambridge, Cambridge University Press. [7]Malcolm, N., 1968, “The Conceivability of Mechanism”, Philosophical Review, 77: 45–72.

 

কনশাসনেসের ব্যাখ্যায় স্নায়ুবিজ্ঞান:

Philosophy of science সম্পর্কে অবগত থাকলে আপনি জানবেন যে বিজ্ঞান third person view point থেকে কোনো কিছু অবজারভেশন এবং পরিমাপের মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের কনশাসনেস এবং ‘কোয়ালিয়া’ সম্পূর্ণ ব্যক্তিসাপেক্ষ বা first person view point. সুতরাং বিজ্ঞান দ্বারা এটাকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। যদিওবা মেথডলজিক্যাল ন্যাচারালিজম এন্ডোর্স করায় বিজ্ঞান প্রায় সবকিছুকেই বস্তুজগতের আলোকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। তাই স্নায়ুবিজ্ঞানে প্রায় ২২ টির মতো থিওরি রয়েছে কনশাসনেসের ব্যাখ্যায় যদিও সেসবই কেবল ধারণা। [8]Seth, A.K., Bayne, T. Theories of consciousness. Nat Rev Neurosci 23, 439–452 (2022). https://doi.org/10.1038/s41583-022-00587-

ফিলোসফার অফ মাইন্ড স্পাইরিডন কাকোস তার একটি জার্নালে নিউরোসায়েন্স যে কখনোই Consciousness কে ব্যাখ্যা করতে পারবে না সেই ব্যাপারে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন-

 

১. পারস্পরিক সম্বন্ধ খুঁজে পাওয়ার অর্থ এই নয় যে আমরা মন বা Consciousness কে বুঝতে পারি।

 

২. আমাদের মন মস্তিষ্কের কোষসমূহের সমষ্টির চেয়েও বেশিকিছু।

 

৩. নিউরোসায়েন্স কেবল ফাংশনাল টার্ম দ্বারা সংজ্ঞায়িত জিনিসগুলোকে ব্যাখ্যা করে, কিন্তু চেতনাকে(Consciousness) একটি ফাংশনাল সংজ্ঞা দেওয়া যায় না।

 

৪. জিনিসগুলি ব্যাখ্যা করার চেয়ে আরও অনেক কিছু আছে।

 

৫. মানুষের মেমরি সংক্রান্ত জটিলতা। [9]Kakos, S. I. (2018). Consciousness and the End of Materialism: Seeking identity and harmony in a dark era. International Journal of Theology, Philosophy and Science, 2(2), … Continue reading

তাছাড়াও মস্তিষ্কের যাবতীয় কেমিক্যাল রিয়েকশন কনশাসনেস এর কারণ হতে পারে না অর্থাৎ কেমিক্যাল রিয়েকশনের সাথে কনশাসনেসের কোনো কজাল কানেকশন নেই তবে এদের মধ্যে মধ্যবর্তী সম্পর্ক রয়েছে। মস্তিষ্কের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ফলাফল হচ্ছে কনশাসনেস এই ধারণাটি ভুল কেননা যদি Consciousness এর ভিত্তি হিসেবে মস্তিষ্কের ফাংশনকে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে Consciousness এর জন্য মস্তিষ্কের ফাংশনকে সবসময় উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রেই কোন স্নায়ু-রাসায়নিক ফাংশন ছাড়াই Subjective Conscious Experience করেছে কোন ব্যক্তি অনুভব করেছে। আবার স্নায়ু-রাসায়নিক ফাংশন বিদ্যমান ছিল কিন্তু Subjective Conscious Experience ঘটে নি এমন ও কেস দেখা গেছে। [10]Owen, A. M., Coleman, M. R., Boly, M., Davis, M. H., Laureys, S., & Pickard, J. D. (2006). Detecting awareness in the vegetative state. science, 313(5792), … Continue reading ফল স্বরুপ বলা যায় Subjective Conscious Experience জন্য স্নায়ু-রাসায়নিক ফাংশন জরুরি নয়।

 

মূল আর্গুমেন্ট:

Consciousness এর উপর ভিত্তি করে এটিকে স্রষ্টার অস্তিত্বের জন্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করেন অসংখ্য ফিলোসফার। তাদের মধ্যে আছেন রিচার্ড সুইনবার্ন, জে পি মোরল্যান্ড, রবার্ট এডামস প্রমুখ ফিলোসফারগণ।

ফিলোসফার জে পি মোরল্যান্ড আর্গুমেন্ট ফ্রম কনশাসনেস এর deductive form তুলে ধরেছেন এভাবে,

 

” (১) অবস্তুগত মানসিক অবস্থার অস্তিত্ব প্রকৃতপক্ষেই বিদ্যমান।

 

(২) মানসিক অবস্থাগুলোর অস্তিত্বের একটি ব্যাখ্যা রয়েছে।

 

(৩) ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা(Personal Explanation) প্রাকৃতিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থেকে আলাদা।

 

(৪) মানসিক অবস্থাগুলোর অস্তিত্বের ব্যাখ্যাটি হয় ব্যক্তিগত অথবা প্রাকৃতিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।

 

(৫) ব্যাখ্যাটি প্রাকৃতিক বৈজ্ঞানিক নয়।

 

(৬) অতএব, ব্যাখ্যাটি একটি ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা (Personal Explanation)।

 

(৭) ব্যাখ্যা যদি ব্যক্তিগত হয়, তবে তা আস্তিকীয় ব্যাখ্যা।

(৮) অতএব, ব্যাখ্যাটি একটি আস্তিকীয় ব্যাখ্যা।

 

১ নং প্রেমিসের প্রমাণ আমরা উপরোক্ত আলোচনায় দেখেছি, উল্লেখ্য ফাংশনালিজমের causal exclusion problem এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা দৃষ্টান্ত। ২,৩,৪ এটিও প্রমাণিত বিশেষ করে ৫ নং প্রেমিস ফিলোসোফিক্যাল আলোচনা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে প্রমাণিত, সাইন্টিফিক মেথড অনুযায়ী কনশাসনেস নিয়ে গবেষণা বিজ্ঞানের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং প্রেমিস ৬,৭ ও সত্য এবং কনক্লুশন সত্য। ” Consciousness কিভাবে জাগতিক দুনিয়াতে প্রবেশ করলো সেটার ব্যাখ্যা দেয় আস্তিক্যবাদ। আত্মা কিভাবে মানুষ ও প্রানীর শারীরিক দিকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এমনকি নিয়ন্ত্রণ করে সেটাও আস্তিক্যবাদ বেশ সহজভাবে ব্যাখ্যা করে। মহান আল্লাহর ইচ্ছাশক্তি, ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা এমন একটা জগৎ নিশ্চিত করে যেখানে শরীর ও আত্মা সহজেই যোগাযোগ করতে পারে। আল্লাহর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে জড় মহাজগৎ এ উদ্ভব হয় Consciousness এর। আল্লাহ যেহেতু সর্ববিষয়ে সচেতন সত্তা, চিরজীবি তাঁর সৃষ্টজগতের সত্তা গুলো নিজেদের ব্যাপারে সচেতন হবে এই ব্যাপারে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” [11]. The divine Reality, Argument from consciousness, p. 164-65

 

” মহাবিশ্বের শুরুতে যদি শুধু পদার্থের অস্তিত্ব থাকত, তাহলে Consciousness থাকতো না। তবে শুরুতে যদি একজন সচেতন সত্তা সৃষ্টি করে থাকেন মহাবিশ্বকে তাহলে অজড় মানসিক অবস্থার সাথে জড় মস্তিষ্কের যোগাযোগ অর্থবহ করে। [12]. The divine Reality, Argument from consciousness, p. 166

 

 

 

 

 

References

References
1 Slagle, J. (2020). Yes, Eliminative Materialism Is Self‐Defeating. Philosophical Investigations, 43(3), 199-213.https://doi.org/10.1111/phin.12252
2 Psychologism and Behaviorism Ned Block The Philosophical Review Vol. 90, No. 1 (Jan., 1981), pp. 5-43 https://doi.org/10.2307/2184371
3 Hamlyn, D. W. “Behaviour.” Philosophy 28 (1953): 132-145. 
4 Place, U. T. (1956). Is consciousness a brain process?. British journal of psychology, 47(1), 44-50.

https://doi.org/10.1111/j.2044-8295.1956.tb00560.x

5 Putnam, Hilary, 1967, “Psychological Predicates”, in W.H. Capitan and D.D. Merrill (eds.), Art, Mind, and Religion, Pittsburgh: University of Pittsburgh Press, 37–48 https://philpapers.org/rec/PUTPP-2
6 Kim, J., 1989, “Mechanism, Purpose, and Explanatory Exclusion”, in J. Kim, Supervenience and Mind, Cambridge, Cambridge University Press.
7 Malcolm, N., 1968, “The Conceivability of Mechanism”, Philosophical Review, 77: 45–72.
8 Seth, A.K., Bayne, T. Theories of consciousness. Nat Rev Neurosci 23, 439–452 (2022). https://doi.org/10.1038/s41583-022-00587-
9 Kakos, S. I. (2018). Consciousness and the End of Materialism: Seeking identity and harmony in a dark era. International Journal of Theology, Philosophy and Science, 2(2), 17-33.http://dx.doi.org/10.26520/ijtps.2018.2.2.17-33
10 Owen, A. M., Coleman, M. R., Boly, M., Davis, M. H., Laureys, S., & Pickard, J. D. (2006). Detecting awareness in the vegetative state. science, 313(5792), 1402-1402.

DOI.org/10.1126/science.1130197

11 . The divine Reality, Argument from consciousness, p. 164-65
12 . The divine Reality, Argument from consciousness, p. 166

Asief Mehedi

Assalamualaikum to all.My name is Asief Mehedi . I am an informal philosophy student. Let's talk about comparative theology, we work to suppress atheism. Help us to suppress atheism and come forward to establish peace.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button