সমকামিতার ব্যবচ্ছেদ
সমকামিতা
সমকামিতার ব্যবচ্ছেদ
লেখক: Nafe Bin Mamun
কার্যত প্রতিটি ধর্ম ও মানব সভ্যতায় সমকামিতা নিষিদ্ধ ছিল। কিছু রোমান সভ্যতা বাদে; প্রাচীন গ্রীক শাসক ও অভিজাতরা, যারা ছেলেদের প্রেমিক হিসাবে ব্যবহার করতেন, অর্থাৎ সমকামী আচরণ ছিল। কার্যত সব সংস্কৃতিতে অনৈতিক বলে বিবেচিত। সুতরাং আমাদের অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত যে, কিভাবে সব সংস্কৃতি এবং ধর্মগুলি একে অপরের থেকে আলাদা হয়েও একই সিদ্ধান্তে এসেছে।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে হোমোসেক্সুয়ালিটিকে (সমকামিতা) মানসিক রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম যিনি সমকামিতা রোগকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি হলেন অস্ট্রিয়ান মনোবিজ্ঞানী Otto Gross. তবে তার এই চাওয়াটা তৎকালীন বিজ্ঞানীরা সিরিয়াসলি নেননি কারণ গ্রোজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ mentally handicapped ছিলেন এবং বিভিন্ন madhouse এবং রিহ্যাব ক্লিনিকে সময় কাটিয়েছেন। অনেকটা পাগল টাইপের ছিলেন আর কি!
এক দশক পরে এই হোমোসেক্সুয়ালিটি নিয়ে আবির্ভূত হন নতুন আরেকজন – Alfred Charles Kinsey যিনি একজন গে ছিলেন এবং তারই ছাত্র Clyde Martin এর সাথে তার সম্পর্ক ছিল। উল্লেখ্য, চার্লস এছাড়াও আরও কিছু মানসিক ব্যাধিতেও আক্রান্ত ছিলেন।
এই চার্লস হোমোসেক্সুয়ালিটিকে নরমালি বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এজন্য তিনি তার সহকর্মীদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতেন রেগুলার, বিভিন্ন সমকামীদের খুঁজে খুঁজে তাদের ইন্টারভিউ নিতেন। Kinsey´এর বন্ধু Wardell Pomeroy মনে করিয়ে দেন তাকে যে তারা কিভাবে সময় কাটাতেন গে ক্লাব এবং গে বারে গিয়ে। [1]Wardell Pomeroy, Dr. Kinsey and the Institute for Sex Research, Harper & Row, New York, 1972. শুধুমাত্র সমকামীদের সাক্ষাতকারই নেন নি, বরং তিনি এসময়ে অন্যান্য বিকৃত মানসিকতার লোক যেমন লেসবিয়ান, ধর্ষক এবং ড্রাগ এডিক্টেড মানসিক বিকারগ্রস্তদেরও সাক্ষাতকার নিতেন- যা একটা পরবর্তীতে ফলস ইমপ্রেশনস এবং নন-রিপ্রেজেনটেটিভ রেজাল্ট তৈরি করে!!
সমকামিতার ইতিহাস:
এসব ইতিহাস মাত্র কয়েক বছর আগে, একজন ব্রিটিশ হিস্ট্রিয়ান এবং লেখক James H. Jones এর দ্বারা প্রকাশিত হয় যিনি Kinsey কে নিয়ে ৬০০ পৃষ্ঠার বায়োগ্রাফি লিখেছেন [2]J.H.Jones, Alfred C. Kinsey, 1997. এবং এটার জন্য তিনি বিখ্যাত “পুলিৎজার অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেন। বিবিসি ১৯৯৮ সালে Kinsey এর এই ঘটনার উপর “Kinseys Pedophiles” নামক একটা ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে।
James H Jones এবং একজন ব্রিটিশ সাইকোলজিস্ট Theodore Dalrymple— Kinsey এর উপর গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে সে তার গবেষণায় আসলে পক্ষপাতিত্ব করেছে এবং সেগুলো করেছে নিজের মানসিক সমস্যাগুলার উপর ভিত্তি করে। [3]J.H.Jones, Alfred C. Kinsey, 1997.
এই Kinsey ই প্রথম ব্যক্তি যিনি সমকামিতাকে বৈধতা দেএয়ার প্রক্রিয়া প্রকাশ্যে শুরু করেছিলেন।
→ Psychologist Ronald Bayer ছিলেন সমকামি দের মাঝে সেই সময়ের সবচেয়ে প্রশংসিত ব্যক্তি যিনি একটা গে লবিং প্রতিষ্ঠান Lambda Foundation থেকে পুরস্কারও লাভ করেছিলেন! কিন্তু তবুও এসব আদিক্ষেতা তাকে সত্য প্রকাশ করতে আটকাতে পারে নাই । তিনি একটা বই লিখেছেন “Homosexuality and American Psychiatry”, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন কিভাবে গে লবিং প্রতিষ্ঠানগুলা রাজনীতিবিদদের থ্রেট দেয়, বিভিন্ন ভয় দেখায় এবং ঘুষ পর্যন্ত দেয়- সাইকোলজিস্টদেরকে চাপ দেএয়ার জন্য যাতে তারা সমকামিতাকে স্বাভাবিক বলে কনক্লুড করে!! এতটা প্রেসার দিয়েও তারা ক্ষান্ত হয় নাই। এরইমধ্যে কিছু সাইকোলজিস্ট তো হোমোসেক্সুয়ালিটিকে মানসিক ব্যাধির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ফোর্স করে। কিন্তু সেই সময়ে The umbrella organization of all American psychologists, the American Psychoanalitic Association সেই দাবি নাকচ করে দেয়। কিন্তু তারা বেশিদিন টিকতে পারে নি।
১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনের সম্মেলনে সমকামি -এক্টিভিস্টদের সাথে আলোচনার জন্য ‘গে-প্যানেল’ রাখা হয়। গে-রাইট এক্টিভিস্ট Franklin Kameny মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সাইকোলজিস্টদের উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে বলেন– “Psychiatry is the enemy incarnate. Psychiatry has waged a relentless war of extermination against us. You may take this as a declaration of war against you.” [4]R. Bayer, Homosexuality and American Psychiatry, 1983.
অর্থাৎ,মনোচিকিৎসা বিভাগই আমাদের নব্য শত্রু। পুরো বিষয়টিই আমাদেরকে সমূলে ধ্বংস করতে নিরন্তর সংগ্রামে লিপ্ত। আপনারা একে আমাদের পক্ষ থেকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে নিতে পারেন।
পরের বছর তারা আবার অংশ নেয় সম্মেলনে। পরের বছর ১৯৭৩ সালে সমকামিতাকে রোগের তালিকা থেকে তড়িঘড়ি করে রিসার্চ ছাড়াই বাদ দেবার সিদ্ধান্ত হয়। প্যানেলে সমকামিদের পক্ষে Barbara Gittings- বলেন “It was never a medical decision. And it was a political move, that’s why i think the decision came so fast” [5]Marcus E. (2002), making gay history: the half century fight for lesbian and gay equal rights.
১৯৭৪ সালে ভোট হয়, সমকামিতাকে কি বাদই রাখা হবে, নাকি আবার ঢুকানো হবে লিস্টে। ৫৮% ভোট পড়ে ‘বাদ-ই থাকুক’ এর পক্ষে। এভাবেই রিসার্চ ছাড়াই ভোটে, হুমকিতে আর প্রেসারে তৈরি হয়ে গেল বিজ্ঞান। যাকে গত ৫০ বছর অন্ধভাবে অনুসরণ করে চলেছে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা। [6]Sarah Baughey-Gill, when gay was not OKAY with APA, Occam’s Razor,vol-1 2011. ”
Dr. Bayers এ সম্পর্কে বলেছিলেন যে, পরিস্থিতি আসলে এমন হয়েছে যে, এসব অনুষ্ঠানে যারা সমকামি উপস্থিতির বিরোধী ছিলেন তারা হয় অ্যাভয়েড করেছেন অথবা চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Charles Socarides সেই সময়ে জনগণকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে– তাদের লেকচার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যান করা হয়েছে এবং তাদের রিসার্চ পেপারগুলা যেগুলো পাবলিশ হয়েছে সেগুলো পর্যন্ত রিফিউজ করে দেওয়া হয়েছে!! [7]C. Socarides, ‘How America Went Gay.
ইত্যবসরে গে-রাইট এক্টিভিস্টরা দুইজন আমেরিকান লেখক খুঁজে পান – Marshall Kirk & Hunter Madsen যারা একটা বই লিখেছিল ১৯৮৯ সালে- “After the Ball”। এই বইতে তারা কিছু প্রোগ্রাম লিখেছিলেন যে কিভাবে আমেরিকানদের এই হোমোসেক্সুয়ালিটিকে (সমকামিতা) নরমালি বলে গ্রহণ করানো যায়। উদ্দেশ্য খুব সহজ বোঝা- আমেরিকায় এইটাকে বৈধতা দেওয়া গেলে সেটা ইউরোপ হয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেএয়াটা কোনো ঘটনাই না।[8]Kirk and Madsen, After the Ball, 1989.
Kirk আর Madsen ইন্ট্রোডাকশন শুরু করেছিলেন এভাবে – “The campaign we outline in this book, though complex, depends centrally upon a program of unabashed propaganda, firmly grounded in long-established principles of psychology and advertising.”
তাদের বুদ্ধিটা ছিল এরকমঃ একদল যতটা সম্ভব পাবলিক প্লেসে চিৎকার করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং সমকামিতা সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা দিবে, আরেকদলের কাজ হলো পাবলিকদের ধরে ধরে বুঝানো যে আসলে এই হোমোসেক্সুয়ালিটি (সমকামিতা) সহজাত প্রবৃত্তিরই অংশ এবং এটা ন্যাচারাল, আরেকদলের কাজ হলো মিডিয়ায় ও হলিউডে প্রভাব বিস্তার করা এবং আরেকদলের কাজ হলো পাবলিককে ডেমোনাইজ করা যে কারা আসলে এই হোমোসেক্সুয়ালিটির (সমকামিতা) বিরোধিতা করে…
Kirk and Madsen নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে তারা জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করেছেন। তাদের বইতে বলা হয়েছে –
“We argue that, for all practical purposes, gays should be considered to have been ‘born gay’ — even though sexual orientation, for most humans, seems to be the product of a complex interaction between innate predispositions and environmental factors during childhood and early adolescence.”
সম্ভবত তারা দুইজনেই এটা জানতেন যে কেউই গে হয়ে জন্মগ্রহণ করে না, কারণ Kirk নিজে একজন সাইকোলজিস্ট ছিলেন। কিন্তু যেহেতু তাদের একটা ভিন্নধর্মী উদ্দেশ্য ছিল, কাজেই তারা এ ধরনের প্রোপাগান্ডাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। John D´Emilio যিনি ইতিহাসের একজন একাডেমিক, গে ছিলেন: তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলে উঠেন –
“আমার কাছে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যজনক লাগে জন্মগত সমকামি ব্যপারে, জন্মগত সমকামির সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নলখাগড়ার মত, তারপরও এতে কারো কিছু যায় আসে না। জন্মগত সমকামি ব্যপারটিকে আর্কষণীয় আর বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য কাউকে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে হয় না।”[9]LGBT liberation: Build a broad movement in the International Socialist Review (Interview 65).
Camille Paglia নিজে একজন লেসবিয়ান এবং অলসো গে রাইট এক্টিভিস্ট। কিন্তু তিনি নিজেই বলেন: “বয়ঃসন্ধির মাত্রাতিরিক্ত হরমোনাল স্ফীতির কারণে হেটারোসেক্সচুয়াল ডিজায়ার স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক কোনোটাই নয়।”[10]Camille Paglia, Vamps & Tramps: New Essays (Vintage, New York, 1994).
তিনি আরো বলেন: “আচ্ছা সমকামি ব্যাপারটা কি এতটাই দূর্বল যে মানুষ ভাবতেই পারে না যে কেউ না কেউ সমকামি হওয়ার ইচ্ছা রাখে? এইসব জিনিস জেনেটিক ভাবে আসে না। সেক্সচুয়ালিটি মাত্রাতিরিক্ত তরল তাই তাত্ত্বিকভাবে এর রদবদল হতে পারে।”
তিনি আরো লিখেছেন: “তবে এটা অনেক ভালো একটা পদক্ষেপ হবে যদি সমকামিদের হেটারোসেক্সচুয়াল কিভাবে ফাংশন করে তা শেখানো হয়। আমিই একমাত্র সমকামি ছিলাম ইয়ালে গ্রাজুয়েট স্কুলে(১৯৬৮-১৯৭২)। আমার আক্রমণাত্মক আর কলংকজনক অতীত থেকে বুঝতে পারি যে স্টালিনিস্ট গে এক্টিভিজম কতটা মারাত্মক।” সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়ার ফলাফল মোটেও ভালো ছিল না কখনই।
১৯৮০ সালের শুরুর দিকে, এক সমকামি দম্পতির শরীরে প্রথম একটা রোগ ধরা পড়ে যেটা সাধারণত আফ্রিকার বানরদের মধ্যে দেখা যেতো সচারাচর। [11]Sharp PM, Hahn BH (September 2011). “Origins of HIV and the AIDS pandemic”. Cold Spring Harbor Perspectives in Medicine. 1 (1): a00684.এই রোগটার তখন নাম দেওয়া হয়েছিল ”Gay Related Immune Deficiency (GRID)” যেটা এখন “Acquired Immune Deficiency Syndrome (AIDS)” নামে পরিচিত।
২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩২.৩ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে (WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী)। ২০০৯ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী এইডসের কারণে ১৪০০০০০০ লোক মারা গেছে বিগত ১৮ বছরে। [12]World Health Organization (WHO):’The World Health Report 2009′ অন্যান্য সমস্ত যৌনরোগ, যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক হোমোসেক্সুয়াল সেলিব্রিটি যেমন Freddie Mercury, Danny Pintauro, Andy Bell, Klaus Schwarzkopf, Holly Johnson, Keith Haring, Georg Vecher, John Grant, Anthony Perkins তাদের জীবন হারিয়েছে। এখন পর্যন্ত, জার্মানি – সমকামীরা রক্তদান নিষিদ্ধ করলেও সম্প্রতি জার্মানরা করোনার পর থেকে অবশ্য অনুমতি দিয়েছে।
২০১৮ সালে, নিউইয়র্কের বেসপোক সার্জিক্যাল ক্লিনিক একটি সমীক্ষা করেছে। যেখানে তারা উল্লেখ করেছে যে– ১৩% সমকামি রেগুলার অ্যানাল সেক্স করে,৪০% সপ্তাহে একাধিকবার করে তবে রেগুলার নয়, যখন প্রতি চারজনের একজন একাধিকবার অ্যানাল সেক্স করে মাসে। ৬০% গে সেক্স করার সময় তাদের মলদ্বার ধৌত করে না এবং ৬৩% কনডম ব্যবহার করে না। [13]https://bespokesurgical.com/2018/02/05/anal-sex-prep-practices-gay-men-straight-women-compare-2/ ফলে অনেক জটিল রোগ ও অসুস্থতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু, এমনকি কনডম দিয়ে করলেও, মলদ্বার সহবাসের ফলে মলদ্বারে প্রদাহ এবং পায়ুপথে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে! [14]B. CHRISTENSON, CH. BROSTRÜM, M. BÜTTIGER, J. HERMANSON, O. WEILAND, G. RYD, J. V. R. BERG, R. SJÜBLOM, AN EPIDEMIC OUTBREAK OF HEPATITIS A AMONG HOMOSEXUAL MEN IN STOCKHOLM: HEPATITIS A, A … Continue reading
গ্যারি রেমাফেদি, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক্সের অধ্যাপক (তিনি নিজে সমকামী) এবং তিনি তার সহকর্মীদের সাথে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। যেখানে তারা কনক্লুড করেছেন, কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ গে শিক্ষার্থী অন্তত একবার হলেও আত্নহত্যা করতে মনস্থ হয়েছে। তিনি এই উপসংহারে পৌছান– “The attempts of suicide could NOT be explained with discirmination, violence, loss of a friend or personal perception of homosexuality.” [15]Remafedi, G. et al., Risk Factors for Attempted Suicide in Gay and Bisexual Youth. Pediatrics, 87, 6, 1991, p.873.
ছাত্রদের বয়স ছিল ১৪ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। ৬০% শিশুকালে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে, ৮৫% মাদক গ্রহণ করতে অভ্যস্ত, ৩০% পতিতাবৃত্তির সাথে যোগাযোগ ছিল এবং তাদের অর্ধেক অন্তত একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল মাদকের কারণে। [16]Remafedi, Gerry, Farrow James A., Deisher Robert W., Risk Factors for Attempted Suicide in Gay and Bisexual Youth, Pediatrics. 1991 87, and also: Remafedi, Gary et al., Demography of Sexual … Continue reading
আরেকজন সাইকোলজিস্ট Robert Garofalo যিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট, একই দাবি করেছেন যে, ৬০% গে ১৩ বছর বয়সেরও আগে থেকে অ্যালকোহল পানে অভ্যস্ত এবং এদের এক তৃতীয়াংশ রেইপের শিকার হয়েছে, ৮২% সেক্সের সাথে যুক্ত এবং ৫৫% এর অলরেডি ২/৩জন সেক্স পার্টনার আছে। [17]Garofalo, R. et al., The association between health risk behaviors and sexual orientation among a school-based sample of adolescents (Youth Risk behavior Survey), Pediatrics, vol 101, No. 5, 1998.
সমকামিতা কেবলই মানসিক বিকৃতি
জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির সাইকোলজিস্ট Paul McHugh এবং প্রিন্সটন ও স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাইকোলজিস্ট Lawrence Mayer দুইজনে মিলে প্রায় ৫০০টা ভিন্ন ভিন্ন স্টাডির উপর গবেষণা এবং মূল্যায়ন করেছেন। তারা সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে অর্ধেকেরও বেশি গে ও লেসবিয়ান শিশুকালে শ্লীলতাহানিতার শিকার হয়েছে। [18]Mayer, L.S., McHugh, P.R., Sexuality and Gender – Findings from the Biological, Psychological, and Social Sciences.
একটি ব্যাপক, সম্ভাব্যতা-ভিত্তিক গবেষণায়, জুডিথ অ্যান্ডারসেন স্টাডি করেছেন স্ব-পরিচিত বিষমকামী, সমকামী এবং উভকামী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পার্থক্য আছে কিনা তা জানার জন্য। নিম্নলিখিত কারণগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল:
১.ডায়েসফাংশনাল ফ্যামিলি,
২.পিতামাতার সম্পর্কে ফাটল,
৩.শারীরিক নির্যাতন,
৪.যৌন নির্যাতন,
৫.মানসিক নির্যাতন।
দেখা গেল যে বিষমকামীদের চেয়ে সবদিক থেকে উচ্চহার সমকামিদের ক্ষেত্রে। আর উভকামীদের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র “পিতামাতার ডিভোর্স হার” ব্যতীত বাকি সবগুলাতেই উচ্চহার দেখা গেছে। (নেগেটিভ)
সামগ্রিকভাবে, হোমোসেক্সচুয়াল পুরুষ আর নারীদের প্রায় ১.৭ বার আর উভলিঙ্গদের প্রায় ১.৬ বার বেশি শিশুকালে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়েছে হেটারোসেক্সচুয়াল পুরুষ আর নারীদের তুলনায়। [19]Mayer, L.S., McHugh, P.R., Sexuality and Gender – Findings from the Biological, Psychological, and Social Sciences.
Marie E. Tomeo যিনি ক্যালিফোর্নিয়া স্কুল অফ প্রোফেশনাল থেকে পিএইচডি করেছেন। তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে ২০০১ সালে একটা জরিপ করেন। ৯৪২ জন লোক জিজ্ঞাসিত হয়েছিল হোমোসেক্সুয়াল অ্যাবিউজ সম্পর্কে। ২৭৭ জন নিজেদের হোমোসেক্সুয়াল দাবি করেছে যার মধ্যে ১২৪জন পুরুষ এবং ১৫৩ জন মহিলা। তারা সকলেই gay pride parade এ অংশগ্রহণ করেছিল। ৪৬% হোমোসেক্সুয়াল পুরুষ স্বীকার করেছেন যে তারা হোমোসেক্সুয়াল অ্যাবিউজ এর অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিপরীতে মাত্র ৭% হেটারোসেক্সুয়াল পুরুষ স্বীকার করেছেন যে তাদের হোমোসেক্সুয়াল অ্যাবিউজ এর অভিজ্ঞতা আছে। এসব ছেলেদের গড় বয়স ছিল মাত্র ১১বছর! ২২% হোমোসেক্সুয়াল নারী স্বীকার করেছেন যে তারা হোমোসেক্সুয়াল অ্যাবিউজ এর শিকার হয়েছে, বিপরীতে মাত্র ১% হেটারোসেক্সুয়াল নারী স্বীকার করেছেন যে তারা হোমোসেক্সুয়াল অ্যাবিউজ এর শিকার। এদের গড় বয়স ছিল মাত্র ১৩%, যার দুই তৃতীয়াংশই কমপক্ষে ১২ বছর বয়সী। [20]Tomeo, M.E. et al., Comparative Data of Childhood and Adolescence Molestation in heterosexual and homosexual persons. Archives of Sexual Behavior, vol. 30.
Morten Frisch এবং Anders Hviid দুইজন ড্যানিশ সাইন্টিস্ট যারা প্রায় ২০০০০০০ লোকের উপর গবেষণা করেছেন। তারা অবশেষে এই উপসংহারে পৌঁছান যে, যাদের বাবা-মা দ্রুতই ডিভোর্স হচ্ছিল তাদেরই পরবর্তীতে সেইম সেক্স মেরেজ করার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। [21]Frisch, M., Hviid, A., “Childhood Family Correlates of Heterosexual and Homosexual Marriages: A National Cohort Study of Two Million Danes”, aus: Archives of Sexual Behavior, October 2006.
ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখ এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে প্রতি চারজনের একজন সমকামী এইডসে আক্রান্ত হবে। তারা এখানে শুধু এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার দিক থেকে গবেষণা করেছে, অন্যান্য রোগ নয়। [22]Zürich Men’s Study, Hrsg. von: Institut für Sozial- und Präventivmedizin der Universität Zürich, Sumatrastrasse 30, CH-8006 Zürich, Juni 1999.
বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০-৪৯ বছর বয়সী হোমোসেক্সুয়ালদের উপর গবেষণা করে কনক্লুশনে আসে যে, বছরে এদের গড়ে প্রায় ১০-১৫ টা ভিন্ন ভিন্ন যৌনসঙ্গী থাকে। তারা উল্লেখ করেছেন যে, বছরের শেষের দিকে এদের দুই-তৃতীয়াংশের একটা করে “সঙ্গী” থাকলেও গড়ে পুরো বছরে তাদের মিনিমাম ১০/১৫টা থাকে।
আমেরিকায় ৭৫% সিফিলস রোগী সমকামি, জার্মানিতে ৭০% (২০১১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী)। [23] গনোরিয়া এবং অন্যান্য রোগগুলির ক্ষেত্রেও প্রায় একই অবস্থা। ৯২% এইডস ইনফেক্টেড – হোমোসেক্সুয়াল! [23]Robert Koch Institut Berlin: Epidemiologisches Bulletin, 30.05.2011
Doctor Maria Xiridou এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়োফরমেটিক্সের অধ্যাপক Ronald B. Geskus : তারা দুইজন একদল ডাচ সাইন্টিস্টদের সাথে একটা জরিপ পরিচালনা করেন। তারা শেষ পর্যন্ত এই উপসংহারে আসেন যে গড়ে একটা গে রিলেশনশিপ মাত্র ১.৫ বছর টিকে। এমনকি এই অল্প সময়ে তাদের প্রায় গড়ে ১২জন করে পার্টনার থাকে। ৮১% গে রিলেশনশিপে থাকা অবস্থায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। [24]https://www.cdc.gov/hiv/pdf/statistics_surveillance_Adolescents.pdf
দুইজন সাইন্টিস্ট গে দম্পতি David McWhirter এবং Andrew Mattison, তারা রিসার্চ ভুল প্রমাণ করার জন্য একটা জরিপ শুরু করেন নিজেরা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, তারা ১৫৬ জন সমকামির এর সাক্ষাতকার নেন, কিন্তু তাদের কারোই ৫ বছরের বেশি সম্পর্ক টিকে নাই। [25]McWhirter D., Mattison A., The Male Couple: How Relationships Develop. Englewood Cliffs, NJ, 1984
সমকামিদের মলদ্বারে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১৭গুণ বেশি [26]Center for Disease Control and Prevention,https://www.cdc.gov/msmhealth/STD.htm এবং বিবাহিত হওয়ার পর থেকে এমনকি সমকামি-পজিটিভ সুইডেনেও সমকামী-দম্পতিদের আত্মহত্যা করার সম্ভাবনা ৩ গুণ বেশি।[27]Björkenstam, C., Andersson, G., Dalman, C., Cochran, S., & Kosidou, K. (2016). Suicide in married couples in Sweden: Is the risk greater in same-sex couples?. European journal of epidemiology, … Continue reading সম্ভবত একটি অর্থপূর্ণ দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক রাখতে ব্যর্থ হওয়াটাও অন্যতম সমস্যা।
২০১৪ সালে একটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় যেখানে বলা হয় যে সমকামীরা হেটেরোসেক্সুয়ালদের থেকে বেশি দুশ্চিন্তা করে, বিধায় তাদের আয়ু ১২ বছর কম থাকে। সুতরাং এটা সমকামী হওয়ার কারণে না। [28]https://www.lifesitenews.com/news/prominent-journal-retracts-2014-study-hailed-as-proof-gays-suffer-poor-hea
উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে যে, জ্যামাইকায় মানুষের গড় আয়ু আমেরিকানদের চেয়ে ৩/৪ বছর কম আরও। সুতরাং তারা এই রিসার্চ পেপার দিয়ে হেটেরোসেক্সুয়ালদের চ্যালেঞ্জ করে বলে “এরপরও কি আপনারা বলবেন যে সমকামি হওয়ার কারণে আয়ু কম?”
সেই সময়ের অন্যতম একজন সৎ সমাজবিজ্ঞানী Mark Regneras সেই গবেষণার কিছু ত্রুটি বের করায় তাকে মিডিয়া সেই সময়ে হোমোফোবিক আখ্যা দেয়। অথচ পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মার্কের দাবি সত্য হয়। গবেষকরা ভুল বুঝতে পারে তাদের। ওই রিসার্চ পেপার যদি আপনি এখন খুজতে যান, তাহলে দেখবেন “Retracted” লেখা।
পরবর্তীতে আরও কিছু স্টাডি প্রকাশিত হয় যাতে বলা হয় যে সমকামিরা যেসকল শিশু দত্তক নেয় এবং তাদের নিকটই ওই শিশুরা বেড়ে ওঠে, তারা অন্যান্য শিশুদের মতোই স্বাভাবিকই হয়।
স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অথর David Benkof (যিনি নিজেই একজন গে ছিলেন) কনক্লুড করেন যে, এইসব রিসার্চের ৬০% গবেষকই হোমোসেক্সুয়াল। তাছাড়া Benkof এদের রিসার্চের পদ্ধতিগত ভুলও ধরেছেন এবং ইন্টারেস্টিং তথ্য হচ্ছে এরা এই গবেষণার জন্য গে-লবিং প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহায়তা লাভ করেছিল। [29]David Benkof, his article: https://dailycaller.com/2014/03/25/all-the-gay-parenting-studies-are-flawed/
সুতরাং কেউ এই গবেষণার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনলেও সেটা ভুল হবে না। ২০১৯ সালের তথ্যমতে নতুন এইডসের পিছনে আমেরিকা ৩৪.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। [30]https://www.kff.org/hivaids/fact-sheet/u-s-federal-funding-for-hivaids-trends-over-time
ইকোনমিক্যাল ডগমা
প্রতি বছর যৌন এসব ডিফিকাল্ট রোগের পিছনে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমেরিকা। যৌনবাহিত রোগের মার্কেট পুরো বিশ্বে– ২০১৭ সালের হিসাবমতে ৩৩০০ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে দাঁড়াবে ৮৬০০ কোটি ডলারে।[31]https://www.transparencymarketresearch.com/sexually-transmitted-disease-drugs-market.html
সমকামিতা মানসিক ব্যধি হওয়ায় এদের মধ্যে ড্রাগ অ্যাডিক্টেড থাকে অনেক। উপরে কিছু রিসার্চ উল্লেখ করেছি। পুরো বিশ্বে ৪৩৫০০ কোটি টাকার ড্রাগ ব্যবসা। [32]United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC)
পেনসিলভেনিয়ায় Philadelphia Centre for Transgender Surgery এর তথ্যমতে, পুরুষ থেকে নারী হতে খরচ পড়ে ১৪০৪৫০ ডলার প্রায় এবং নারী থেকে পুরুষ হতে খরচ পড়ে প্রায় ১২৪৪০০ ডলার।[33]https://edition.cnn.com/2015/07/31/health/transgender-costs-irpt/index.htmlলিঙ্গ সার্জারীতে খরচ পড়ে ৩০০০০ ডলারেরও বেশি। চেহারা সার্জারীতে ২৫০০০-৬০০০০ ডলার পর্যন্ত খরচ পড়ে। স্তন সার্জারীতে লাগে ৫০০০-১০০০০ ডলার। ২০১৭ সালে শুধু পুরুষ-টু- নারী সার্জারীর মার্কেট ছিল ১১ কোটি ডলারের। ২০১৬ সালে মোট সার্জারী হয়েছে ৩২৫০টা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। মানে মার্কেট দিনদিন বড় হচ্ছে! ২০২৪ সালের মধ্যে এই মার্কেট গিয়ে দাঁড়াবে ৯৭ কোটি ডলারে। [34]Sex Reassignment Surgery Market Size to Record Significant Growth Through 2026, MarketWatch.
সার্জারীর খরচ ছাড়াও ট্রান্সজেন্ডারদের বাকি জীবন হরমোন থেরাপি নিতে হবে যার খরচ বছরে ১৫০০ ডলার। সুতরাং, এলজিবিটি বৈধতা দেওয়ার পিছনে কারণটা সম্ভবত অর্থনৈতিক। কারণ এর বৈজ্ঞানিক কিংবা দর্শনগত কোনো ভিত্তি নেই। Home – Faith and Theology (faith-and-theology.com)
References
↑1 | Wardell Pomeroy, Dr. Kinsey and the Institute for Sex Research, Harper & Row, New York, 1972. |
---|---|
↑2, ↑3 | J.H.Jones, Alfred C. Kinsey, 1997. |
↑4 | R. Bayer, Homosexuality and American Psychiatry, 1983. |
↑5 | Marcus E. (2002), making gay history: the half century fight for lesbian and gay equal rights. |
↑6 | Sarah Baughey-Gill, when gay was not OKAY with APA, Occam’s Razor,vol-1 2011. |
↑7 | C. Socarides, ‘How America Went Gay. |
↑8 | Kirk and Madsen, After the Ball, 1989. |
↑9 | LGBT liberation: Build a broad movement in the International Socialist Review (Interview 65). |
↑10 | Camille Paglia, Vamps & Tramps: New Essays (Vintage, New York, 1994). |
↑11 | Sharp PM, Hahn BH (September 2011). “Origins of HIV and the AIDS pandemic”. Cold Spring Harbor Perspectives in Medicine. 1 (1): a00684. |
↑12 | World Health Organization (WHO):’The World Health Report 2009′ |
↑13 | https://bespokesurgical.com/2018/02/05/anal-sex-prep-practices-gay-men-straight-women-compare-2/ |
↑14 | B. CHRISTENSON, CH. BROSTRÜM, M. BÜTTIGER, J. HERMANSON, O. WEILAND, G. RYD, J. V. R. BERG, R. SJÜBLOM, AN EPIDEMIC OUTBREAK OF HEPATITIS A AMONG HOMOSEXUAL MEN IN STOCKHOLM: HEPATITIS A, A SPECIAL HAZARD FOR THE MALE HOMOSEXUAL SUBPOPULATION IN SWEDEN, American Journal of Epidemiology, Volume 116, Issue 4, October 1982, Pages 599–607, https://doi.org/10.1093/oxfordjournals.aje.a113442 |
↑15 | Remafedi, G. et al., Risk Factors for Attempted Suicide in Gay and Bisexual Youth. Pediatrics, 87, 6, 1991, p.873. |
↑16 | Remafedi, Gerry, Farrow James A., Deisher Robert W., Risk Factors for Attempted Suicide in Gay and Bisexual Youth, Pediatrics. 1991 87, and also: Remafedi, Gary et al., Demography of Sexual Orientation in Adolescents, in: Pedeatrics Vol 89 No. 4, 1992. |
↑17 | Garofalo, R. et al., The association between health risk behaviors and sexual orientation among a school-based sample of adolescents (Youth Risk behavior Survey), Pediatrics, vol 101, No. 5, 1998. |
↑18, ↑19 | Mayer, L.S., McHugh, P.R., Sexuality and Gender – Findings from the Biological, Psychological, and Social Sciences. |
↑20 | Tomeo, M.E. et al., Comparative Data of Childhood and Adolescence Molestation in heterosexual and homosexual persons. Archives of Sexual Behavior, vol. 30. |
↑21 | Frisch, M., Hviid, A., “Childhood Family Correlates of Heterosexual and Homosexual Marriages: A National Cohort Study of Two Million Danes”, aus: Archives of Sexual Behavior, October 2006. |
↑22 | Zürich Men’s Study, Hrsg. von: Institut für Sozial- und Präventivmedizin der Universität Zürich, Sumatrastrasse 30, CH-8006 Zürich, Juni 1999. |
↑23 | Robert Koch Institut Berlin: Epidemiologisches Bulletin, 30.05.2011 |
↑24 | https://www.cdc.gov/hiv/pdf/statistics_surveillance_Adolescents.pdf |
↑25 | McWhirter D., Mattison A., The Male Couple: How Relationships Develop. Englewood Cliffs, NJ, 1984 |
↑26 | Center for Disease Control and Prevention,https://www.cdc.gov/msmhealth/STD.htm |
↑27 | Björkenstam, C., Andersson, G., Dalman, C., Cochran, S., & Kosidou, K. (2016). Suicide in married couples in Sweden: Is the risk greater in same-sex couples?. European journal of epidemiology, 31(7), 685–690. https://doi.org/10.1007/s10654-016-0154-6 |
↑28 | https://www.lifesitenews.com/news/prominent-journal-retracts-2014-study-hailed-as-proof-gays-suffer-poor-hea |
↑29 | David Benkof, his article: https://dailycaller.com/2014/03/25/all-the-gay-parenting-studies-are-flawed/ |
↑30 | https://www.kff.org/hivaids/fact-sheet/u-s-federal-funding-for-hivaids-trends-over-time |
↑31 | https://www.transparencymarketresearch.com/sexually-transmitted-disease-drugs-market.html |
↑32 | United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC) |
↑33 | https://edition.cnn.com/2015/07/31/health/transgender-costs-irpt/index.html |
↑34 | Sex Reassignment Surgery Market Size to Record Significant Growth Through 2026, MarketWatch. |