ভাববাদ ও বাস্তববাদের মধ্যে পার্থক্য
ভাববাদ ও বাস্তববাদের মধ্যে পার্থক্য
দর্শনের ইতিহাসে একদল দার্শনিক বলেন, জ্ঞেয় বস্তু [1]যিনি কোনো বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে তাকে জ্ঞাতা আর যে বস্তু সম্পর্কে … Continue reading মনের বা জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল।
এদেরকে ভাববাদী দার্শনিক বলা হয় এবং এদের মতবাদের নাম হলো ভাববাদ বা Idealism.
অন্যদিকে আরেকদল দার্শনিকের মতে, জ্ঞেয় বস্তু জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল নয়। এদেরকে বাস্তবাদী বলা হয় এবং এদের মতবাদের নাম হচ্ছে বাস্তববাদ বা Realism.
বাস্তববাদ বা Realism
এই মতবাদ অনুসারে জ্ঞানের বিষয়বস্তু মানুষের মনের উপর নির্ভরশীল নয়। কেউ বস্তুকে জানুক বা না জানুক তাতে বস্তুর কিছু যায় আসেনা, বরং বস্তুর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রয়েছে।
যেমন; কোনো এক অচেনা লোককে এইমাত্র দেখে আমরা এটা বলতে পারবোনা যে আমরা দেখার কারণে লোকটি অস্তিত্বে আছে। বরং লোকটির অস্তিত্ব আগেও ছিলো তা আমরা আগে জানতাম না এখন জানলাম।
আরেকটি উদাহারণ দেওয়া যায় যে, কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করার পূর্বে আমেরিকার অস্তিত্ব ছিলো। সুতরাং আমেরিকার অস্তিত্ব বা অচেনা মানুষের অস্তিত্ব কোনো মানুষের জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল নয় বরং স্বতন্ত্র।
ভাববাদ বা Idealism
যে দার্শনিক মতবাদ চেতানা, আত্মাকে একমাত্র প্রকৃত সত্তা বলে মনে করে তাকে ভাববাদ বা idealism বলে। এই মতবাদ অনুসারে এই জগতে যত বস্তু আছে তা আমাদের ভাব বা কল্পনার প্রতিচ্ছবি মাত্র।
সম্পর্কে অন্যান্য লেখাঃ ফিলোসফি – Faith and Theology (faith-and-theology.com)
আমাদের ফেইসবুকঃ Faith & Theology | Facebook
References
↑1 | যিনি কোনো বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে তাকে জ্ঞাতা আর যে বস্তু সম্পর্কে জ্ঞাণ লাভ করা হয় তাকে জ্ঞেয় বস্তু বলে। যেমন; আমার সামনে একটি কলম রাখা। এই কলমটি হচ্ছে জ্ঞেয় বস্তু আর কলম সম্পর্কে আমি জ্ঞাণ লাভ করেছি তাই আমি হলাম জ্ঞাতা |
---|