দাজ্জালের কোন চোখ কানা? হাদিসে কি দাজ্জালের চোখ নিয়ে স্ববিরোধী কথা রয়েছে?
দাজ্জালের কোন চোখ কানা? ডান চোখ নাকি বাম চোখ?
দাজ্জালের কোন চোখ কানা? হাদিসে কি দাজ্জালের চোখ নিয়ে স্ববিরোধী কথা রয়েছে?
স্ববিরোধিতার অভিযোগঃ
কিছু হাদিসে বলা আছে দাজ্জালের (Antichrist) বাম চোখ অন্ধ বা কানা। আবার কিছু হাদিসে বলা আছে দাজ্জালের ডান চোখ কানা! এটা কি হাদিসের স্ববিরোধী তথ্য না? দাজ্জালের কোন চোখ আসলে কানা?
জবাবঃ
কিয়ামতের পূর্বের বড় লক্ষণগুলোর একটি হচ্ছে দাজ্জালের আগমন। অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা যা প্রমাণিত। কাজেই এর উপর ঈমান রাখা একজন মুসলিমের জন্য অত্যাবশ্যক।
সহীহ মুসলিমে হুজায়ফা ইবন উসায়েদ(রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
اطَّلَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ فَقَالَ مَا تَذَاكَرُونَ قَالُوا نَذْكُرُ السَّاعَةَ قَالَ إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَأَجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ
অর্থঃ ‘‘একবার রাসূল(ﷺ) আমাদের কাছে আসলেন। আমরা তখন কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেনঃ যতদিন তোমরা ১০টি আলামত না দেখ ততদিন কিয়ামত হবে না।
(১) ধোঁয়া (২) দাজ্জালের আগমন (৩) দাববা (ভূগর্ভ থেকে নির্গত অদ্ভুত এক প্রাণীর আগমণ) (৪) পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় (৫) ঈসা ইবন মারইয়ামের(আ.) আগমণ ৬) ইয়াজুয-মা’জুযের আবির্ভাব (৭) পূর্বে ভূমিধস (৮) পশ্চিমে ভূমিধস (৯) আরব উপদ্বীপে ভূমিধস (১০) সর্বশেষে ইয়েমেন থেকে একটি আগুন বের হয়ে মানুষকে সিরিয়ার দিকে হাঁকিয়ে নেবে’’।[1] সহীহ মুসলিম হাদিস নং : ৭১৭৭
দাজ্জালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে হাদিসে বেশ কিছু বিবরণ পাওয়া যায়। যার কিছু বিবরণ দেখে আপাতদৃষ্টিতে স্ববিরোধী মনে হতে পারে। আমরা এখন সেই বিবরণগুলো নিয়ে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ্।
দাজ্জালের ডান চোখের ব্যাপারে হাদিসে যে বিবরণ পাওয়া যায়ঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ الدَّجَّالَ بَيْنَ ظَهْرَانَىِ النَّاسِ فَقَالَ “ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَيْسَ بِأَعْوَرَ . أَلاَ وَإِنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ أَعْوَرُ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِئَةٌ
অর্থঃ ইবনু ‘উমার (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের মধ্যে দাজ্জালের আলাপ-আলোচনা করে বললেন, আল্লাহ তা’আলা অন্ধ নন। কিন্তু সতর্ক হও! দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে। আর তা আঙ্গুরের মতো ফোলা হবে।[2] সহীহ মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৫১
দাজ্জালের ডান চোখ অন্ধ / কানা ইত্যাদি উল্লেখ করে আরো বিভিন্ন জায়গায় হাদিস পাওয়া যায়।[3] সহীহ বুখারী ৭১২৩; রিয়াদুস সলিহীন ১৮২৮ http://ihadis.com/books/bukhari/hadis/7123 https://hadithbd.com/hadith/link/?id=32621
দাজ্জালের অন্য চোখ অর্থাৎ বাম চোখের ব্যাপারে হাদিসে যে বিবরণ পাওয়া যায়ঃ
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ الدَّجَّالُ أَعْوَرُ عَيْنِ الْيُسْرَى جُفَالُ الشَّعَرِ مَعَهُ جَنَّةٌ وَنَارٌ فَنَارُهُ جَنَّةٌ وَجَنَّتُهُ نَارٌ ”
অর্থঃ হুযায়ফাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দাজ্জালের বাম চোখ হবে অন্ধ এবং তার মাথায় থাকবে পর্যাপ্ত চুল। তার সাথে থাকবে (কৃত্রিম) জান্নাত ও জাহান্নাম। আসলে তার জাহান্নাম হবে জান্নাত এবং জান্নাত হবে জাহান্নাম।[4] সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস নং : ৪০৭১ (সহীহ) http://www.ihadis.com/books/ibn-majah/hadis/4071
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنَا أَعْلَمُ بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ مِنْهُ مَعَهُ نَهْرَانِ يَجْرِيَانِ أَحَدُهُمَا رَأْىَ الْعَيْنِ مَاءٌ أَبْيَضُ وَالآخَرُ رَأْىَ الْعَيْنِ نَارٌ تَأَجَّجُ فَإِمَّا أَدْرَكَنَّ أَحَدٌ فَلْيَأْتِ النَّهْرَ الَّذِي يَرَاهُ نَارًا وَلْيُغَمِّضْ ثُمَّ لْيُطَأْطِئْ رَأْسَهُ فَيَشْرَبَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مَاءٌ بَارِدٌ وَإِنَّ الدَّجَّالَ مَمْسُوحُ الْعَيْنِ عَلَيْهَا ظَفَرَةٌ غَلِيظَةٌ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ يَقْرَؤُهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ كَاتِبٍ وَغَيْرِ كَاتِبٍ ”
অর্থঃ হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাজ্জালের সাথে কি থাকবে, এ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত অবগত আছি। তার সাথে প্রবাহমান দুটি নহর থাকবে। একটি দৃশ্যত সাদা পানি এবং অপরটি দৃশ্যত লেলিহান অগ্নি মনে হবে। যদি কেউ সুযোগ পায় তবে সে যেন ঐ নহরে প্রবেশ করে যাকে দৃশ্যত আগুন মনে হবে এবং (এই) চক্ষু বন্ধ করতঃ মাথা অবনমিত করে সে যেন তা থেকে পানি পান করে। তা হবে ঠাণ্ডা পানি। দাজ্জালের এক চোখ বিকৃত/লেপা হবে এবং তার চোখের উপরে ঝুলন্ত চামড়া থাকবে এবং দুই চোখের মাঝখানে كَافِرٌ অথবা ك ف ر লেখা থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল মুমিন ব্যক্তি তা পাঠ করতে পারবে।[5] সহীহ মুসলিম ৭১০১ ও ৭২৫৭
https://hadithbd.com/hadith/link/?id=19424
https://hadithbd.com/hadith/link/?id=54355
এখানে একটি জিনিস উল্লেখ না করলেই নয়। হাদিসে দাজ্জালের চোখের ব্যাপারে মূল আরবিতে اعور শব্দটি এসেছে। এর বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। এর সব থেকে প্রচলিত অর্থঃ কানা, একচক্ষুহীন ইত্যাদি।[6]আরবী-বাংলা ব্যবহারিক অভিধান (আল-ক্বামূসুল ওয়াজীয) – ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান … Continue reading অধিকাংশ বাংলা অনুবাদে অন্ধ, কানা এই শব্দগুলো এসেছে। ইংরেজিতে শব্দটির অনুবাদে কোথাও কোথাও ‘One eyed’ এসেছে।[7] https://sunnah.com/bukhari/97/37 এই শব্দ দ্বারা এগুলো ছাড়াও সাধারণভাবে ত্রুটিপূর্ণ চোখকেও (পুরোপুরি অন্ধ নয়) বোঝায়।[8] https://islamqa.org/hanafi/hadithanswers/123524
কাজেই হাদিসের বিবরণ অনুযায়ী,
১। দাজ্জালের ডান চোখ হবে অন্ধ/ত্রুটিপূর্ণ, সেটি আঙ্গুরের মতো ফোলা হবে।
২। দাজ্জালের বাম চোখ হবে অন্ধ/ত্রুটিপূর্ণ, এর উপরে ঝুলন্ত চামড়া থাকবে।
হাদিস থেকে আমরা জানলাম যে, দাজ্জালের ডান চোখ কানা আবার বাম চোখও কানা। দাজ্জালের কোন চোখ আসলে কানা? সত্যিই কি এটি হাদিসের স্ববিরোধিতা?
আলোচ্য হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবন হাজার আসকালানী(র.) ফাতহুল বারীতে বলেছেন,
“হাদিসদ্বয়ের মাঝে কাজি ইয়াদ্ব(র.) সমন্বয় করেছেন। তিনি বলেছেন যে, উভয় বর্ণনাই বিশুদ্ধ। … … তার (দাজ্জালের) বাম ও ডান উভয় চোখই ত্রুটিযুক্ত। কেননা, ‘আওরা বলতে প্রত্যেক ত্রুটিযুক্ত জিনিসকে বোঝায়। আর দাজ্জালের উভয় চোখই ত্রুটিযুক্ত। এক চোখ তো জ্যোতিশূন্য (ডান চোখ)। কিছুই দেখতে পারে না। আর অন্যটি (হালকা) নষ্ট (বাম চোখ)।” [9] ফাতহুল বারী – ইবন হাজার আসকালানী, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৮০-৪৮১
অর্থাৎ দাজ্জালের উভয় চোখই কানা বা ত্রুটিগ্রস্ত।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, যদি উভয় চোখই কানা হয়, তাহলে কিছু হাদিসে ডান চোখ কানা আবার কিছু হাদিসে বাম চোখ কানা হবার কথা কেনো বলা হলো?
এর উত্তর হচ্ছেঃ উভয় শ্রেণীর হাদিসগুলোতে দাজ্জালের দুই চোখের কথা আলাদা ভাবে বলা হচ্ছে। কিছু হাদিসে ডান চোখের ব্যাপারে বলা হচ্ছে, আবার কিছু হাদিসে বাম চোখের কথা। যেহেতু দাজ্জালের দুই চোখই ত্রুটিগ্রস্ত কাজেই কখনো কখনো ডান চোখকে ত্রুটিগ্রস্ত আবার কখনো কখনো বাম চোখকে ত্রুটিগ্রস্ত বলা মোটেও ভুল কিছু নয়। এটি স্ববিরোধিতা নয় বরং দুই চোখের ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি হয়তো সহজে বোঝা যাবে।
ধরা যাক, একজন লোকের দুইটি হাতই ত্রুটিগ্রস্ত এবং অকেজো। ডান হাত প্যারালাইজড এবং অত্যন্ত সরু। বাম হাতের সবগুলো আঙুল কাটা, হাতের সম্মুখভাগ গোল বলের মতো। এবং সেটিও কোনো কাজ করবার উপযুক্ত নয়।
এক জায়গায় বলা হলোঃ লোকটির ডান হাত ত্রুটিগ্রস্ত এবং সরু। ঠিক যেন সরু লাঠি।
অন্য জায়গায় বলা হলোঃ লোকটির বাম হাত অকেজো ও ত্রুটিগ্রস্ত। হাতের সামনের অংশ ঠিক যেন গোল বল।
এখানে দুই জায়গায় লোকটির দুই হাতের বর্ণনা আলাদা আলাদাভাবে দেয়া হচ্ছে। কেউ কি বলবে যে এখানে দুই জায়গায় স্ববিরোধী তথ্য আছে?
উত্তর হচ্ছে না। কারণ লোকটির দুই হাতই ত্রুটিগ্রস্ত, অকেজো। কাজেই কখনো ডান হাতকে অকেজো বলা আবার কখনো বাম হাতকে অকেজো বলা মোটেও স্বরিরোধিতা নয়।
দাজ্জালের চোখের হাদিসগুলোর ব্যাপারেও একই কথা। কিছু হাদিসে ডান চোখের বিবরণ দিয়ে أعور বলা হচ্ছে, কিছু হাদিসে বাম চোখের বিবরণ দিয়ে أعور বলা হচ্ছে। যেহেতু উভয় চোখই أعور (কানা/ত্রুটিগ্রস্ত), উভয় চোখের জন্যই কথাটি সত্য। অতএব হাদিসে কোনো স্ববিরোধী তথ্য নেই।
কিছু হাদিসে দাজ্জালের ডান বা বাম কোনো চোখের কথা উল্লেখ না করেই তাকে সাধারণভাবে أعور বলা হচ্ছে।
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنِّي لأُنْذِرُكُمُوهُ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ وَلَكِنِّي سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلاً لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّ اللهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ.
অর্থঃ আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোক সমাবেশে দাঁড়ালেন এবং মহান আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন। এরপর তিনি দাজ্জাল প্রসঙ্গে বললেনঃ তার সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সতর্ক করছি। এমন কোন নবী নেই যিনি তাঁর কাওমকে এ বিষয়ে সতর্ক করেননি। তবে তার সম্পর্কে আমি তোমাদের এমন একটি কথা বলব যা কোন নাবীই তাঁর জাতিকে বলেননি। তা হল এই যে, সে কানা হবে আর আল্লাহ্ অবশ্যই কানা নন। [10] সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৭১২৭ http://ihadis.com/books/bukhari/hadis/7127
Narrated `Abdullah bin `Umar: Allah’s Messenger (ﷺ) stood up amongst the people and then praised and glorified Allah as He deserved and then he mentioned Ad-Dajjal, saying, “I warn you of him, and there was no prophet but warned his followers of him; but I will tell you something about him which no prophet has told his followers: Ad- Dajjal is one-eyed whereas Allah is not.” [11] ইংরেজি অনুবাদঃ https://sunnah.com/bukhari/92/74
এ থেকে আরো স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে সাধারণভাবে উভয় চোখের দিক থেকেই দাজ্জাল أعور। আবার أعور এর অন্য অর্থ ‘এক চক্ষুহীন’ বা ‘এক চোখওয়ালা’ (One-eyed) এই হাদিসের অনুবাদ হতে পারে। যেহেতু দাজ্জালের এক চোখের উপর চামড়ার আবরণ থাকবে এবং অন্য চোখ আঙ্গুরের ন্যায় ঠেলে বেরিয়ে থাকবে, তাকে বাইরে থেকে দেখে “এক চোখওয়ালা” বা One-eyed মনে হবে। কাজেই দাজ্জালকে “One-eyed” বলে বর্ণনা দেয়া মোটেও অযৌক্তিক কিছু নয়।
অতএব হাদিসে দাজ্জালের বিবরণগুলোতে কোনো প্রকারের স্ববিরোধী তথ্য বা অসঙ্গতি নেই।
কুরআন ও হাদিস সংক্রান্ত – ইনসাইট জোন
মূল লেখার সোর্সঃ দাজ্জালের কোন চোখ কানা? ডান চোখ নাকি বাম চোখ?
References
↑1 | সহীহ মুসলিম হাদিস নং : ৭১৭৭ |
---|---|
↑2 | সহীহ মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৫১ |
↑3 | সহীহ বুখারী ৭১২৩; রিয়াদুস সলিহীন ১৮২৮ http://ihadis.com/books/bukhari/hadis/7123 https://hadithbd.com/hadith/link/?id=32621 |
↑4 | সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস নং : ৪০৭১ (সহীহ) http://www.ihadis.com/books/ibn-majah/hadis/4071 |
↑5 | সহীহ মুসলিম ৭১০১ ও ৭২৫৭ |
↑6 | আরবী-বাংলা ব্যবহারিক অভিধান (আল-ক্বামূসুল ওয়াজীয) – ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান (রিয়াদ প্রকাশনী) পৃষ্ঠা ৯০ |
↑7 | https://sunnah.com/bukhari/97/37 |
↑8 | https://islamqa.org/hanafi/hadithanswers/123524 |
↑9 | ফাতহুল বারী – ইবন হাজার আসকালানী, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৮০-৪৮১ |
↑10 | সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৭১২৭ http://ihadis.com/books/bukhari/hadis/7127 |
↑11 | ইংরেজি অনুবাদঃ https://sunnah.com/bukhari/92/74 |