ডিসরাপ্টিভ সিলেকশন বা বিঘ্নিত নির্বাচন
বিবর্তনবাদ
ডিসরাপ্টিভ সিলেকশন। ( বিঘ্নিত নির্বাচন)
এই নির্বাচনটি এক কথায় স্ট্যাবিলাইজিং সিলেকশন এর একেবারে উল্টো। স্ট্যাবিলাইজিং সিলেকশন এ যেমন মাঝারি ধরনের ট্রেইট বা বৈশিষ্ট্য কে সিলেক্ট করা হয়, ডিসরাপ্টিভ সিলেকশন বা বিঘ্নিত নির্বাচনে হয় তার ঠিক উল্টো। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মাঝারি বা এভারেজ ট্রেইট কে বাতিল করে দেয়া হয় এবং কম কিংবা বেশি এলিল ফ্রিকোয়েন্সির ট্রেইট এই সিলেকশন এ সিলেক্ট হয় তবে মাঝারিটা হয়না।
হাইপোথেটিক্যাল খরগোশঃ
আমরা পুনরায় একটি খরগোশ নগর কল্পনা করে নেই। ধরে নিলাম সেই খরগোশের পপুলেশনে খরগোশের রঙ হচ্ছে কালো এর এলিল হচ্ছে B এবং জিনোটাইপ হচ্ছে BB আবার খরগোশের পপুলেশনে বাকি এক অংশের রঙ হলো সাদা এর এলিল হচ্ছে b এবং এর জিনোটাইপ হচ্ছে bb. এ তো গেল হোমোজাইগাস রিসেসিভ আর হোমোজাইগাস ডমিনেন্ট এর কাহিনি। এখানে একটা জিনিস বোঝা দরকার, পূর্বে আমরা বলেছিলাম অ্যালিল দুটি একইধর্মী (যেমন-BB) আবার বিপরীতধর্মী (যেমন-Bb) হতে পারে। একইধর্মী হলে অ্যালিল দুটি প্রকট। আর বিপরীতধর্মী হলে একটি প্রকট অ্যালীল (T) এবং অন্যটি প্রচ্ছন্ন অ্যালীল (t). এক্ষেত্রে প্রকট অ্যালিলটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিলকে বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা দেয়। কিন্তু এখানে হেটেরোজাইগাসে বাধা দেয়ার মানে তো আর এইনা যে ডমিনেন্ট এলিল একেবারে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে বরং এ দুটো এলিলের রিসেসিভ ডমিনেন্ট কে প্রশমিত করে দিয়ে কালো এবং সাদা মিশে গিয়ে আরেক অংশ হেটেরোজাইগাস খরগোশের রঙ হবে ধূসর রঙের। এবং এর জিনোটাইপ হলো Bb. এবার ধরে নিলাম খরগোশের পপুলেশনে কালো এবং সাদা রঙের পাথর আছে বেশ বড় বড় তুলনামূলকভাবে লুকিয়ে থাকার মতো। সেক্ষেত্রে শিকারের সময় জিনোটাইপ BB অর্থাৎ কালো পশমের খরগোশ গুলো কালো পাথরের কাছাকাছি লুকাবে, এবং জিনোটাইপ bb অর্থাৎ সাদা রঙের খরগোশগুলো সাদা পাথরের কাছাকাছি লুকিয়ে পড়বে আর বাকি হেটেরোজাইগাস Bb অর্থাৎ ধূসর রঙের খরগোশ তাদের বাসস্থানে এবং সমতল অঞ্চলে চলাচল করবে ফলস্বরূপ এরা শিকারের সাথে সাথে কমতে থাকবে।
ডিসরাপ্টিভ সিলেকশন আমাদের হাইপোথেটিক্যাল খরগোশের চরম কম এবং বেশি ট্রেইট গুলো কে রেখে মাঝারি ট্রেইট টাকে বিঘ্নিত ভাবে সিলেক্ট করে এবং বাদ দিয়ে দেয়।
রেফারেন্সঃ
Doolittle, Donald (1987). Population Genetics- Basic Principles. Germany: Springer-Verlag. pp. 69–72.