এককোষী থেকে বহুকোষী জীবের বিবর্তন পর্যবেক্ষণ
বিবর্তনবাদ
ল্যাবে এককোষী থেকে বহুকোষী জীবের বিবর্তন পর্যবেক্ষণ।
এককোষী জীব থেকে বহুকোষীতে পরিণত হওয়ার পিছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে অনুমিত কিছু প্রকল্পের মধ্যে predation বা অপর জীবের শিকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচা অন্যতম একটি প্রকল্প। এই হাইপোথিসিস এর মূল বিষয় হচ্ছে এককোষী কোনো জীব অপর জীবের শিকার হওয়ার হাত থেকে বাচতে নিজের আয়তন বৃদ্ধি করে। এই প্রকল্পটির উপর ভিত্তি করেই একটি পরীক্ষা করা হয়। যা ২০১৯ সালে সাইন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় বিবর্তন যোগ্য জীব হিসাবে এককোষী, স্বাধীনভাবে গমনে সক্ষম, সবুজ শৈবাল ক্ল্যামিডোমোনাস রিনহার্ডিটি (Chlamydomonas reinhardtii) ব্যবহার করা হয়। আর শিকারী হিসাবে ব্যবহার করা হয় ফিল্টার-ফিডিং সিলিয়েটস (Paramecium tetraurelia)।
এককোষী শৈবালগুলি সাধারণত মাল্টিপল ফিশন নামক প্রক্রিয়ায় বংশ বৃদ্ধি করে। একটি কোষ থেকে তিনটি পর পর তিনটি বিভাজনের মাধ্যমে প্রথমে দুটি, পরে চারটি ও শেষে আটটি অপত্য কোষ উৎপন্ন হয়। এই অপত্য কোষগুলি প্রাথমিক কোষটির প্রাচীর ভেদ করে বেরিয়ে আসে, তারপর বড় হবার পরে সেই একই পদ্ধতিতে বৃদ্ধি শুরু করে। এটি হচ্ছে শৈবালের এককোষী থেকে বহুকোষীর একটি পর্যবেক্ষণ। [1]Herron, M.D., Borin, J.M., Boswell, J.C. et al. De novo origins of multicellularity in response to predation. Sci Rep 9, 2328 (2019). https://doi.org/10.1038/s41598-019-39558-8
তবে এ বিষয়টি মনে রাখা প্রয়োজন যে এককোষী থেকে বহুকোষীতে পরিবর্তন বা বিবর্তন হলেও উক্ত পরবর্তনের ( এককোষী থেকে বহুকোষী) জন্য প্রয়োজনীয় জেনেটিক ইনফরমেশন এবং কোষীয় উপাদান আগে থেকেই পূর্বের এককোষী জীবে বিদ্যমান থাকে। এবং পূর্বে বিদ্যমান সেই জেনেটিক ইনফরমেশন এবং কোষীয় উপাদানকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন প্রয়োজনে কোষ এককোষী থেকে বহুকোষীতে রুপান্তরিত হয়ে থাকে। [2]Enrico Sandro ColizziRenske MA VroomansRoeland MH Merks (2020) Evolution of multicellularity by collective integration of spatial information eLife 9:e56349. https://doi.org/10.7554/eLife.56349
এক্ষেত্রে কিছু জিনে ইনফরমেশন লস হয় এবং কিছু সুপ্ত জিন আত্মপ্রকাশ করে। যেমনটা হয় হেটেরোজাইগাস জীবের ক্ষেত্রে। হেটেরোজাইগাস জীবে ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলেও রিসেসিভ এলিলের বৈশিষ্ট্য সুপ্ত থাকে তৎক্ষনাৎ প্রকাশ পায়না তবে পরবর্তী কোন প্রজন্মে বাকি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে পারে। এক্ষেত্রে এককোষী থেকে বহুকোষীতে রুপান্তর হওয়ার ক্ষেত্রেও তাই ঘটে অর্থাৎ এককোষী জীবে পূর্বে বিদ্যমান জিনোমিক উপাদান থেকেই বহুকোষীতে পরিবর্তন হয়।
এই সকল পরীক্ষা প্রকৃতপক্ষে মাইক্রো ইভোলিউশনের প্রমাণ। ম্যাক্রো ইভোলিউশন এর নয়। কারণ এককোষী থেকে বহুকোষী হওয়ায় উক্ত শৈবালের জিন পুলে কোনো ইনফরমেশন বৃদ্ধি পায়নি। বা বলা যেতে পারে scratch থেকে জেনেটিক ইনফরমেশন প্রডিউস হয়নি। যেটা ম্যাক্রো ইভোলুশনারি পার্স্পেক্টিভ থেকে দাবি করা হয় যে বস্তুগত চান্স এর মাধ্যমে simple pre existing life form থেকে ফাংশনাল ইনফরমেশন জেনারেট হতে পারে। যা আসলে সম্ভব নয় এবং এককোষী থেকে বহুকোষীর বিবর্তন এমন কিছু প্রমাণ করেনি।
References
↑1 | Herron, M.D., Borin, J.M., Boswell, J.C. et al. De novo origins of multicellularity in response to predation. Sci Rep 9, 2328 (2019). https://doi.org/10.1038/s41598-019-39558-8 |
---|---|
↑2 | Enrico Sandro ColizziRenske MA VroomansRoeland MH Merks (2020) Evolution of multicellularity by collective integration of spatial information eLife 9:e56349. https://doi.org/10.7554/eLife.56349 |